কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, গত ৬ নভেম্বর বিকালের দিকে নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চান। থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চান।
একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সব দিয়ে দেন।
একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছেন।
পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নম্বর সংগ্রহ করে যে নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি।
একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কণ্ঠে মুন্সিকে বলেন, ‘এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছ কেন, রেখে দাও।’ কণ্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় এলে মুন্সি ওসিকে ঘটনাটি জানান। এরপর পুরো ঘটনা শুনে ওসি বুঝতে পেরে ওই রাতে থানায় সব অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বরে কল দিতে বলেন।
তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একইভাবে কল ও একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন জানান। পরে মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন বলেন, ওই ফোন করে কয়েকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়েছিল। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না- এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি