কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে সর্বত্র একই ধরনের শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে সর্বত্র একই ধরনের শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সংস্কৃতিসচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে দেশে–বিদেশে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় এখন শহীদ মিনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন কাঠামোর শহীদ মিনার নির্মানের কারণে দেশি-বিদেশি ব্যক্তিরা কোন আকৃতির শহীদ মিনারকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করবেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। যে কারণে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।
পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট