ভাষা আন্দোলন
ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
১০ মাস আগে
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র আয়োজনে ইলফোর্ডে মাতৃভাষা পথ-উৎসব
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্তিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৈচিত্র্যপূর্ণ পথ-উৎসব।
রবিবার ইলফোর্ড টাউন সেন্টারে আয়োজিত উন্মুক্ত এই উৎসবে পথচারীসহ রেডব্রিজের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষ জড়ো হন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেডব্রিজ কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর জয়ারঞ্জন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র চেয়ার এস এম জাকির হোসেন, ইলফোর্ড টাউন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দা সায়মা আহমেদসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও অধিবাসীগণ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘড়িতে ১২টা বাজার সাত মিনিট পূর্বে শহীদ মিনারে পৌঁছান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে রাষ্ট্রপতি চার মিনিট পূর্বে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্য তাকে অভ্যর্থনা জানান।
আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা অমর একুশের অমর গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে একসঙ্গে অগ্রসর হন।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই এসেছে স্বাধীনতা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। তার কোনো অবদান না থাকলে তিনি কেন জেলে ছিলেন?
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করেছিল। অথচ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আসলে তার (বঙ্গবন্ধুর) নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনেও তার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি অনেক বিজ্ঞজনও বলেছিলেন যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) সেসময় জেলে থাকায় তার কোনো অবদান নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন ছাত্রনেতারা তার সঙ্গে দেখা করতেন এবং ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে তার নির্দেশনা নিতেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইগুলো পড়লে এসব তথ্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের ১১৩-১৩০ পৃষ্ঠা থেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়া ছাত্র নেতাদের নাম এবং ভাষা আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
‘অমর একুশে’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ শিল্পকলা বিভাগে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছেন।
সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর); আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়; শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর); গবেষণায় ড. মো. আব্দুল মজিদ; শিক্ষায় অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর); সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক ও অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর); রাজনীতিতে ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি করে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রশংসাপত্র পাঠ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে একুশে পদক প্রবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
১ বছর আগে
আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
আওয়ামী লীগ অতীতে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই করবে বলে বিশ্বাস করেন শিক্ষামন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন ও প্রাক্তন ছাত্রীদের পুনর্মিলনীতে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শনিবার অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ আওয়ামী লীগ সেই দল যা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য লড়াই করেছিল, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিজয়ী করেছিল। তারপরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পুনরুদ্ধারের সমস্ত আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যে কমিটি ঘোষণা করা হবে, তাতে নতুন ও সিনিয়রদের সমন্বয় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই যেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের এত বেশি অংশগ্রহণ রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
১ বছর আগে
একুশে পদক বিজয়ী বিচারপতি কাজী এবাদুল হক আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও ভাষা আন্দোলনের কর্মী কাজী এবাদুল হক বার্ধক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতির মৃত্যুতে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান আর নেই
তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এবাদুল হক ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ফেনী শহরে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করে ফেনীতে আইন পেশায় প্রবেশ করেন এবং ১৯৬৬ সালে ঢাকার হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে নথিভুক্ত হন।
এবাদুল হক ১৯৯০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন এবং বাংলায় রায় প্রদান করে এক অন্যন্য নজির স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আর নেই
১০ বছর হাইকোর্ট বিভাগে থাকার পর তিনি আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। কিন্তু এক বছর পর সে বেঞ্চ থেকে অবসর নেন তিনি।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে এবাদুল হক একুশে পদকে ভূষিত হন।
তার মেয়ে কাজী জিনাত হক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি।
২ বছর আগে
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে সর্বত্র একই ধরনের শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে সর্বত্র একই ধরনের শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সংস্কৃতিসচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে দেশে–বিদেশে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় এখন শহীদ মিনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন কাঠামোর শহীদ মিনার নির্মানের কারণে দেশি-বিদেশি ব্যক্তিরা কোন আকৃতির শহীদ মিনারকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করবেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। যে কারণে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।
পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
২ বছর আগে
বিশিষ্ট সাংবাদিক গাফ্ফার চৌধুরী চিরনিদ্রায় শায়িত
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-এর রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শনিবার বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশিষ্ট এই বাংলাদেশি-ব্রিটিশ লেখক ও কলামিস্টের দাফন সম্পন্ন হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ১১ টা ৫মিনিটে লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী মারা গেছেন
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
২ বছর আগে
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই
ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এর রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৮ বছর।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ ব্রিটিশ লেখক একাধারে সাংবাদিক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কবি হিসেবে সুপরিচিত।
পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ইউএনবিকে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালে সকাল ৬:৪৯ মিনিটে (লন্ডন সময়) মারা যান তিনি। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপে নেবে।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফা মারা গেছেন
২ বছর আগে
রক্ত দিয়ে অর্জিত বর্ণমালা, ভাষা শহীদদের স্মরণে সজীব ওয়াজেদ জয়
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের ৭০তম বার্ষিকীতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২১ তারিখ মানে মাথা নত করা নয়। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে সকল শহীদদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
পোস্টটিতে ভাষার জন্যে জীবন দেয়া বীরদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মরণে জাতীয় শহীদ মিনারের একটি ছবি দিয়ে তিনি লেখেন ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত আমার বর্ণমালা’।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
২ বছর আগে