উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, শুভাঢ্যা, কালিন্দী, শাক্তা ও তারানগর এলাকায় প্রায় পাঁচ লাখ দিনমজুর ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বসবাস করেন। তারা লকডাউনের কারণে প্রায় এক মাস ধরে ঘরবন্দী হয়ে খাবার সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে ইতোমধ্যে যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়েছে তা বেশিরভাগ মানুষ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছেন। এলাকাবাসী এমন পদক্ষেপে খুশি হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যত দিন লকডাউন চলবে তত দিন ত্রাণসামগ্রী দেয়া অব্যাহত থাকবে। ত্রাণ কার্যক্রম থেকে কেউ যেন বাদ না পরেন সে জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ ত্রাণ কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এ কার্ডে অসহায় পরিবারের লোকসংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা কার্ডের মাধ্যমে লোকসংখ্যা দেখে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া অব্যাহত রাখবেন।’
এদিকে, কেরানীগঞ্জে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৮৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।