তিনি বলেছেন, ‘আমরা সকলে জানি এডিস মশা আবাসিক, অনাবাসিক ভবনে বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবন আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এজন্য আমরা সর্বসাধারণের কাছে বিভিন্নভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি। কোনো ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এটা খুব দুঃখজনক যে, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকগণ সচেতন হচ্ছেন না। তারা মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এজন্য আমি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিচ্ছি।’
ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে চলমান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিদর্শন করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর বারিধারায় তারা চিরুনি অভিযান পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তারা বারিধারায় ৯ নম্বর পার্ক রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিপুল পরিমান এডিস মশার লার্ভার খোঁজ পান। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার কারণে আমরা ইতিমধ্যে অনেক ভবন মালিকদের আর্থিক জরিমানা করেছি, তবে এখন সময় এসেছে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার।’
মেয়র ঢাকাবাসীর প্রতি তিনদিন পরপর জমে থাকা পানি ফেলে দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যারা ভবন তৈরি করছেন তারা অনেক টাকার মালিক। কিন্তু তাদের অবহেলার জন্য আমরা সবাই ঝুঁকিতে আছি। মেয়র শহরবাসীর প্রতি এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে আপনি নিজে, আপনার পরিবার, সমাজ, শহর ও রাষ্ট্র বেঁচে থাকবে।
ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে সোমবার চিরুনি অভিযানের ৩য় দিনে মোট ১ হাজার ৩৪৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এসময় বিভিন্ন বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ও পরিত্যক্ত জায়গায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৭টি মামলায় মোট ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ মে থেকে চলমান চিরুনি অভিযান এবং গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ পর্যন্ত সর্বমোট ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।