যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় নগরীর ৫০ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মধ্যে এ সহায়তা দেয়া হবে।
নগরীর দরিদ্রতা কমানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ডিএফআইডি এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে ইউএনডিপি’র এলআইপিসিপি প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে এ সহায়তা বাস্তবায়ন করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ইউএনডিপি।
ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রতিনিধি জুডিথ হারবার্টসন বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মতো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংকটে দ্রুত শহুরে দরিদ্র এবং দুস্থদের কাছে পৌঁছানো সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। আমি খুবই আনান্দিত যে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপির সাথে একত্রিত হয়ে ডিএফআইডি, এত কম সময়ের মধ্যে বিষয়টিতে সাড়া দিতে পেরেছে।’
ডিএফআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, লকডাউন ও আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে নগরীর বিপুল সংখ্যক দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
দেশের ২০টি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার শহুরের বস্তিতে থাকা সাড়ে ২১ লাখ দরিদ্র মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং হাত ধোঁয়ার সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউএনডিপিকে ৩০ লাখ ইউরো দেবে ডিএফআইডি।
কারোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে নারী, শিশু, প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রস্তুতি এবং প্রাথমিক পদক্ষেপের জন্য সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় প্রকল্পের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনবসতিগুলোতে আড়াই হাজার হাত ধোঁয়ার সুবিধা স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে এবং ২০টি শহরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের সচেতন করে তোলার কাজ করছেন।