বুধবার কৃষিমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনলাইন সভায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি করোনার প্রভাবে মোকাবিলা করে কৃষিই সকলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এ সময়ে অর্থনীতির যত ক্ষতিই হোক ঘরে খাবার থাকলে অন্তত জীবনটা বাঁচানো যাবে। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি বা জাত উদ্ভাবন করে ফেলে রাখলে চলবে না। সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে যত দ্রুত সম্ভব সেসব জাতকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
এসময় লবণ-সহিষ্ণু ধানের জাতকে অতিদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, বর্তমান অর্থবছরে মে, ২০২০ পর্যন্ত অর্জিত জাতীয় গড় অগ্রগতি অপেক্ষা এ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বেশি হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। এসব প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ আছে ১৭৬৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এ অর্থবছরে মে, ২০২০ পর্যন্ত সময়ে অর্থ অবমুক্ত হয়েছে ১২৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৭৩ শতাংশ এবং অর্থ ব্যয় হয়েছে ১০৪২ কোটি ৫৬ লাক টাকা, যা বরাদ্দের ৫৯ শতাংশ।
এছাড়া, করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বসতবাড়ি ও অনাবাদি পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সবজি ও ফল চাষাবাদের লক্ষ্যে ১৭৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে যা শিগগিরই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাটানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।