জীববিজ্ঞানের সর্বপ্রসিদ্ধ বৈশ্বিক এ সম্মেলনে পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়ো কমিউনিটি লিডার, বায়ো হ্যাকারসহ জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অবিস্মরণীয় অবদান রাখা তরুণ লিডাররা অংশগ্রহণ করবেন।
চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সম্মেলনটি চলবে। ২০১৭ থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এ সম্মেলনে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ২-৩ জন অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
মাত্র ২১ বছর বয়সে জীববিজ্ঞানের অবিস্মরনীয় অবদানের কারণেই তাকে বৈশ্বয়িক এ প্রসিদ্ধ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়, ইউশা আরাফ বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, কোভিড রিসার্চ সেল-এ ‘গবেষণা সহযোগী’ হিসাবে কাজ করছেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশের ‘কমিউনিটি অব বায়োটেকনোলজির’ প্রতিষ্ঠাতা, এটি বাংলাদেশের একটি অলাভজনক সংস্থা যা বাংলাদেশের লাইফ সাইন্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং গবেষণার সুযোগ সরবরাহ করে। তিনি বাংলাদশের ‘এক্স জিনোমিক্স’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এক্স জিনোমিক্সের উদ্যোগেই উন্নত গবেষনা ও ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিসের জন্য সিকুয়েন্সিং প্রযুক্তির একটি বায়োইনফরমেটিকাল প্ল্যাটফরম তৈরি হয়েছে যা জিনোমিক্স ও বায়োইনফরমেটিক্সকে জিনোমিক রিসার্চ প্রজেক্টের সাথে একিভূতকরনের মাধ্যমে গবেষকদের সহায়তা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কম্পিউটেশনাল বায়োলজি এর রিজিওনাল স্টুডেন্ট গ্রুপ বাংলাদেশের সেক্রেটারি এবং শাবিপ্রবির সায়েন্স এরেনা এর মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন।এর আগে কাজ করেছেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের গনিত বিভাগের ভিজিটিং প্রশিক্ষক হিসেবে। ইতিমধ্যে তার ১৫টি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউশা আরাফ বলেন, ‘‘২০১৭ সাল থেকেই বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কমিউনিটি অব বায়োটেকনোলজি’ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী, বায়োটেক উদ্যোক্তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ সুযোগ তৈরি করেছি। বিশ্ববিখ্যাত বায়োটক কোম্পানি ‘এডজিন’ এর সাথে আমরা দীর্ঘসময়ের একটা পরিকল্পনা করেছি। গ্লোবাল বায়োসামিটে আমি বিশ্বের বিভিন্ন বায়ো কমিউনিটি লিডারদের সাথে পরিচিত হতে পারব এবং ভবিষ্যতে তাদের সাথে এক হয়ে কাজ করার একটা মহৎ সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইউশা আরাফের সাফল্যে গর্বিত।ইউশার কাজে ও সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা এ গবেষণার সাথে সংযুক্ত হয়ে দেশের মুখোজ্জ্বল করবে এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। আমি ইউশাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।’