শুক্রবার ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম সফরকালে জীববৈচিত্র্য বজায় রাখে, অঞ্চলের পানি সরবরাহ ও আয় বৃদ্ধি করে এমন স্থিতিশীল জীবিকা ও বন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইউএসএইডের কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করেন রাষ্ট্রদূত।
মিলার ও ইউএসএইডের মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন এলাকাবাসী, স্থানীয় সরকার ও সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে দেখা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের উৎসাহ দেয় ও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
শাকসবজি, হাঁস, মুরগি, শুকর ও ছাগল চাষের মাধ্যমে প্রায় ২৪ হাজার স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবিকা উন্নত করতে সাহায্য করছে ইউএসএইড।
পানি নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউএসএইড নিরাপদ পানির প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করেছে এবং কাঠ ও অন্যান্য বন্য উপাদানের সম্প্রদায়ের নির্ভরতা হ্রাস করেছে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ৬২৫ হেক্টর গাছ রোপন করার জন্য বাংলাদেশ বন বিভাগ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে ইউএসএইড।
রাষ্ট্রদূত মিলার এবং মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন ইউএসএইডের জরুরি প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণের জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে যান।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জরুরি প্রস্তুতির জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইউএসএইডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।
২০১৮ সালে ইউএসএইড খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনে স্থিতিশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশে মানুষের জীবনযাপনের জন্য উন্নয়ন সহায়তায় প্রায় ২১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে।