সম্প্রতি নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক এ চক্রটির বিভিন্ন চোরাই মোবাইলের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৬০টি চোরাই মোবাইল সেটসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রাউজানের মৃত দেলা মিয়ার ছেলে দোস্ত মোহম্মদ মানিক (৫৪), সাতকানিয়ার কবির আহম্মদের ছেলে খলিলুর রহমান (৩১), লোহাগাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে সাহেদুল ইসলাম ও কুমিল্লার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল রানা (৩০)।
এ সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য খোরশেদ আলম (৩৫) নামে একজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নগরীর যে স্থান থেকে মোবাইল চুরি বা ছিনতাই করা হোক না কেন, তা বিক্রি করতে হয় নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের এ সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে। সেখানে আছে নির্দিষ্ট দোকান, যেখানে শুধু ছিনতাই ও চুরি করা মোবাইল সেট বিক্রি করতে আসেন ছিনতাকারী দল। আর এতে নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন রেয়াজুদ্দিন বাজারের আলোচিত চোরাই মোবাইল ক্রয়কারী জাহিদুল ইসলাম আলো। আলো র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর তার অন্যতম সহযোগী দোস্ত মোহাম্মদ ও তার ভাগ্নে খোরশেদ আলম এটি নিয়ন্ত্রণ করতেন।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এসব তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ছিনতাইকারীরা নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই করে মোবাইলগুলো রেয়াজুদ্দিন বাজারের চোরা মার্কেটে নিয়ে আসতো। তারা খুব অল্পদামে এ সিন্ডিকেটের কাছে মোবাইলগুলো বিক্রয় করত।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর লাভলেইন এলাকা থেকে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ এ তথ্য পাওয়া যায়।