কয়েক দিন ধরে হাটে পশু আসলেও শুরুতে বিক্রি ছিল কম। তবে শুক্রবার থেকে ক্রেতাদের ভিড়ে হাট জমজমাট হয়ে উঠে।
চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীতে ৮টি এবং ১৫ উপজেলায় ১৪৬টি হাট বসেছে। এসব হাটে সব মিলিয়ে ৬ লাখের বেশি পশু বিক্রি হবে।
মহানগরীতে সবচেয়ে বড় হাট বসছে সাগরিকায়। দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর বিবিরহাট হাট।
এবার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পশু হাটে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
তিনি বলেন, ‘সমগ্র চট্টগ্রামে এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ৬ লাখের বেশি হবে না। আর বিক্রি হবে সোয়া ৬ লাখ। পশুর সংকট হবে না। দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই।’
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর চট্টগ্রামে ৭ হাজার ৫৭টি খামারে ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গতবার যে গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এবার এক লাখ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।
সাগরিকায় গরু কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, মাত্রাতিরিক্ত দাম চাইছে। ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনার ইচ্ছে নিয়ে বাজারে আসলেও দামে মেলাতে পারেননি তিনি।
বিবিরহাটে গরু কিনতে আসা সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নার বলেন, ‘বাজারে অনেক গরু। এরপরও বেপারীরা দাম ছাড়ছেন না। কয়েকটা গরু দেখেছি। কিন্তু এখনো কেনা হয়নি। মাঝারি সাইজের গরু এক লাখের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।’
বিবিরহাট ঘুরে দেখা গেছে, যারা গরু কিনেছেন তাদের বেশির ভাগেরই অভিযোগ যে এবার দাম বেশি।
সাগরিকা হাটের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে মানুষ বাজারমুখী হয়েছেন। শুক্রবার থেকে বাজার জমে উঠেছে।
চট্টগ্রামে স্থানীয় গরু ছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু আসে। নগরীর বড় দুটি স্থায়ী হাট ছাড়াও সিটি করপোরেশন ৬টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দিয়েছে।