চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে আনা শতাধিক অভিযোগ নিয়ে গণশুনানি শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অডিটোরিয়ামে এই গণশুনানি করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এ কারণে সকল দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে রয়েছে। তারা শিগগিরই ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার নিয়ে বিড়ম্বনা: সাতক্ষীরায় গণশুনানি
মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু চুনোপুটি নয়, অনেক ক্ষমতাবানদের গ্রেপ্তার করেছে। যারা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় শাস্তি ভোগ করছেন। একবার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হলে জীবদ্দশায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, কেউ যেন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে নিজের অধিকারের অতিরিক্ত ভোগ করতে না পারে। দুর্নীতি যেই করুক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে কোনো বাধা আসলেও পিছপা হবে না দুদক। আপনার জেনে খুশি হবেন, দুদকের করা প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীদের শাস্তি হয়েছে। কারণ আমাদের আইনজীবীরা সঠিক তথ্য উপাত্ত আদালত উপস্থাপন করেন। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।
দুদক কমিশনার বলেন, দুদক কোনো মামলা করার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে না, বিচার বিশ্লেষণের মাধমে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মামলা করা হয়। এতে ভুলভ্রান্তি কম হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) এ কে এম সোহেল, সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, দুদকের চট্টগ্রাম বিভগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।