গণশুনানি
গণশুনানি: খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ করা হয়।
কমিটি প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে প্রতি ইউনিট এক টাকা ১০ পয়সা বাড়িয়ে গড় খুচরা মূল্য আট টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে।
তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন বিইআরসি আইন ২০১০-এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিইআরসি-এর সিদ্ধান্তের পরে ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকরীভাবে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর পরে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দেয়।
একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সমিশন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)ও হুইলিং চার্জ বাড়ানোর জন্য একটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবি প্রথমে ২৩ নভেম্বর খুচরা পর্যায়ে শুল্ক ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রস্তাব দেয় এবং পরবর্তীতে অন্যান্য সমস্ত বিতরণ সংস্থাগুলোও প্রায় অভিন্ন প্রস্তাবের জন্য তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব দেয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সমস্ত ভোক্তা অধিকার গ্রুপ গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিতরণ এবং ট্রান্সমিশন সংস্থাগুলির প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
ক্যাবের সহ-সভাপতি এএসএম শামসুল আলম বলেন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ জনস্বার্থ পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সিস্টেম লস কমানোর পরিবর্তে সরকার শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সহজ সমাধানের চেষ্টা করছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের শুল্ক আরও বাড়ানো হলে এটি ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যা জনদুর্ভোগকে তীব্র করবে এবং সাধারণ মানুষ এর চূড়ান্ত শিকার হবে; কারণ তাদেরই শেষ পর্যন্ত মূল্য দিতে হবে।’
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের প্রধান সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের একক ক্রেতা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) আর্থিক ক্ষতি ১৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
বিপিডিবি এর নিজস্ব সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ২৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে, যা প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র জানায়, বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় ও কম দামে বিক্রি, পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপিডিবির রাজস্ব ঘাটতি আরও বেড়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে বাল্ক ট্যারিফের সাম্প্রতিক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি বিপিডিবিকে মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোকসান কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি একটি বড় বোঝা হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে, বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর জন্য বিইআরসিতে তাদের খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণশুনানি চলছিল। রবিবার শুনানি শেষ করা সম্ভব না হলে সোমবার দ্বিতীয় দিনের জন্য শুনানি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে বলে বিইআরসি থেকে একটি তফসিল রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে ৪২ সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকের গণশুনানি
চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে আনা শতাধিক অভিযোগ নিয়ে গণশুনানি শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অডিটোরিয়ামে এই গণশুনানি করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এ কারণে সকল দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে রয়েছে। তারা শিগগিরই ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার নিয়ে বিড়ম্বনা: সাতক্ষীরায় গণশুনানি
মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু চুনোপুটি নয়, অনেক ক্ষমতাবানদের গ্রেপ্তার করেছে। যারা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় শাস্তি ভোগ করছেন। একবার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হলে জীবদ্দশায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, কেউ যেন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে নিজের অধিকারের অতিরিক্ত ভোগ করতে না পারে। দুর্নীতি যেই করুক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে কোনো বাধা আসলেও পিছপা হবে না দুদক। আপনার জেনে খুশি হবেন, দুদকের করা প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীদের শাস্তি হয়েছে। কারণ আমাদের আইনজীবীরা সঠিক তথ্য উপাত্ত আদালত উপস্থাপন করেন। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।
দুদক কমিশনার বলেন, দুদক কোনো মামলা করার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে না, বিচার বিশ্লেষণের মাধমে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মামলা করা হয়। এতে ভুলভ্রান্তি কম হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) এ কে এম সোহেল, সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, দুদকের চট্টগ্রাম বিভগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।
২ বছর আগে
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
গ্রাহক পর্যায়ের গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার দেয়া প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছেন ভোক্তা, নাগরিক, ব্যবসা ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী পক্ষগুলো।
সোমবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে তারা এ বিরোধিতা করেন। পেট্রোবাংলাসহ আট প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর দেয়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এ গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
ভোক্তা অধিকার পক্ষগুলো বলছে, এই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায্য হবে। কেননা করোনার মহামারি কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে তথ্য একে-অপরের সঙ্গে মিলছে না।
তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখান থেকে গ্যাস খাতের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
পেট্রোবাংলার দেয়া তথ্য জনগণকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
শুনানির প্রথম দিনে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা সকালে ও দুপুরে পৃথকভাবে দুটি অধিবেশনে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি এবং অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সংস্থাটির বার্ষিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৬৫ হাজার ২২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। ফলে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বর্তমান ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করতে হবে।
বিইআরসির কারিগরি দল পেট্রোবাংলার দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির ব্যয় মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত হিসেবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার অব্যবহৃত তহবিল রয়েছে।
২ বছর আগে
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি সোমবার শুরু হবে।
গ্যাস সেক্টরের স্টেকহোল্ডারদের যুক্তি শোনার জন্য ২১-২৪ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তফসিল অনুযায়ী পেট্রোবাংলা অ্যান্ড গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রস্তাবের ওপর শুনানি ২১ মার্চ, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ২২ মার্চ, তিতাস গ্যাস ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ২৩ মার্চ জালালাবাদ গ্যাস ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির শুনানি ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
২৫ জানুয়ারি জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সমিশন কোম্পানি এবং অন্যান্য ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়।
এছাড়াও পেট্রোবাংলা ও বাল্ক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়েছে তারা।
গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি ডাবল বার্নারের মাসিক গ্যাসের দাম বর্তমান ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ২১০০ টাকা হবে এবং সিঙ্গেল বার্নারের দাম বর্তমান ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০০০ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
২ বছর আগে
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর আগামী ২১ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সোমবার বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললে কমিশন গণশুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছি বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশের জন্য।’
জানুয়ারিতে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দেয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো।
আরও পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
এছাড়া তাদের প্রধান গ্যাস সরবরাহকারী পেট্রোবাংলাও পৃথকভাবে বাল্ক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
বিইআরসি যদি বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে রান্নার জন্য দুই চুলার সংযোগে ব্যয় ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ১০০ টাকা এবং এক চুলার ব্যয় ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার টাকা হবে।
কোম্পানিগুলোর এমন প্রস্তাবের পর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষক দল এটি যাচাই করে গণশুনানির সূচি নির্ধারণ করেছে।
বিইআরসি আইন অনুযায়ী, কমিশন গ্যাস খাতের অংশীজনের মধ্যে আগ্রহী প্রতিনিধিদের গণশুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষক দল তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
কর্মকর্তা সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী পেট্রোবাংলা ও এর সাতটি সহযোগী সংস্থা বাল্ক ও খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
২ বছর আগে
‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে প্রতিহত করার ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির
যাত্রীদের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, সরকার গণশুনানি ছাড়া ‘অবৈধ’ পন্থায় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চ মালিকরা বর্ধিত মূল্যের কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া লুটে নেয়ার জন্য পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করেছে। এছাড়া ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি,অকটেন ও পেট্রোল চালিতসহ সকল প্রকার যানবাহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়ে দিতে যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির আয়োজন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ন্যায্য, গ্রহণযোগ্য, বাস্তবসম্মত, আদায়যোগ্য ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাস ও লঞ্চ মালিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
এছাড়া যাত্রী প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সরকার ও মালিকদের ভাড়া বৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিছার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার, ভাড়া বাড়ছে প্রায় ২৮ শতাংশ
ডিজেলের দাম বেড়েছে তাই গাড়ি বন্ধ, এটা ধর্মঘট নয়: শাহাজাহান খান
পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
৩ বছর আগে
চৌগাছায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা কার্ডের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ
যশোরের চৌগাছার নারী-পুরুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন সহায়তার কার্ড ও কাজ দেয়ার নাম করে অর্থ-আত্মসাতের অভিয়োগে এক ইউপি সদস্যেরে বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমণ কমিশন (দুদক)।
৪ বছর আগে