সূত্রে জানা যায় যাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তারা সবাই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর র্যাগ দেয়ার সময় প্রতিবাদ করলে সাংবাদিক মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় ইংরেজী বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের মাহমুদুল হাসান রূপককে ১ বছর, ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাব্বির হোসেন ও একই বিভাগ ও একই সেশনের রাজিবুল আলম এবং মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের তৈমুর হোসেনকে ২ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৯ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সালাউদ্দীন চৌধুরী এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সান্তানু নাথকে মারধরের ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এমাদ উদ্দীন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের লিপটন দাশ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সালাহউদ্দীন সাজ্জাদ, একই সেশনের লোক প্রশাসন বিভাগের ইব্রাহিম খলিলকে ২ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ৩০ জুলাই মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও আমানাত হলের আবাসিক ছাত্র জাহিন খন্দকারের রুম থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় একই বিভাগের ২০১৫- ১৬ সেশনের রিফাত হাসান এবং একই সেশনের উদ্ভীদ বিজ্ঞান বিভাগের কাউসার ইবনে হাসানকে ৬ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী হলে ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের গিয়াসউদ্দীন ইমরানকে মারধরের ঘটনায় আধুনিক ভাষা ও ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সামদানি রহমানকে ১ বছরের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘আগামীতে যদি কেউ এরকম কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটায় সে যেই হোক না কেন আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। এমনকি আজীবন ছাত্রত্ব বাতিল করাও হতে পারে।’