চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হন।
বর্তমানে আহত জোনায়েদ সাকি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে শহরে এসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমি চমেক হাসপাতালে রোগীদের দেখেছি। রোগীদের দেখে আমরা গাড়িতে উঠতে যাব এমন সময় ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা করেছে তারা। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের ২০ জন নেতা-কর্মী এ সময় হামলার শিকার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র অধিকারের দপ্তর সম্পাদক তানজিম হাসান জানান, হামলার সময় জোনায়েদ সাকির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুব অধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম সৌরভ, চট্টগ্রাম মহানগর নেতা হাসান মারুফ রুমি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ জামান জনি ও ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ উদ্দীন ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়।