চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে অপহরণ করে রাউজানে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।
এ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ হত্যা মামলা
মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ, বর্তমানে চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের প্রকাশ টাইগার নাসের, লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ, সেকান্দর, জসিম, খালেদ, বাবুল রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির ও মোর্শেদকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরার পশ্চিম গলির মিন্নি মহল বাসায় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে নুরুল আলমকে তুলে নেন এসআই জাবেদ।
এসময় বাসার তিনটি মোবাইল ফোনসহ নুরুকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাপড় দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
পরে তার মাথায় গুলি করে হত্যার পর রাউজন বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা