আহতদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বিরুনী হলের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছয়জন সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে আল বিরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাত ৯টার দিকে চৌরাঙ্গী পয়েন্টে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে ‘উত্যক্ত’ করেন মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবু সাইদ। এই ঘটনা ওই ছাত্রী আল বিরুনী হলের তার ছাত্রলীগ বন্ধু আশিককে জানালে তিনি আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সাথে নিয়ে সাঈদকে মারধর করেন।
পরে রাত ১১টার দিকে ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজিম হোসেন রতন এবং মীর মোশাররফ হোসেন হল শাখার কর্মী রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৫০ জন ছাত্রলীগ কর্মী ধারালো অস্ত্র, লাঠি, পাইপ এবং রড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরাঙ্গী পয়েন্টে অবস্থান করা আল বিরুনী হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
সূত্র জানায়, প্রায় এক ঘণ্টা দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় দুই রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আল বিরুনী হলের আবাসিক ছাত্র ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত সায়েম বলেন, ‘তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছে। আমাদের হলের ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’
তিনি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
তবে হামলা বিষয়টি অস্বীকার করেন মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা।
তারা দাবি করেন, আল বিরুনী হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের মোটরবাইক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘ইভ টিজিংয়ের মতো সামান্য ঘটনা নিয়ে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ ঘটনা খুবই পরিতাপের। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’