তিনি বিশেষ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুধীজনসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি, যারা শোকের সময় পাশে থেকে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বর্ষার এ মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দূরদূরান্ত থেকে অনেক কষ্ট স্বীকার করে মিঠামইন সদরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে আবদুল হাইয়ের নামাজে জানাজায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানিয়েছেন তাদের প্রতিও রাষ্ট্রপতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পিজিআর, এসএসএফ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার সদস্য, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, এলাকার সর্বস্তরের জনগণ যারা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে শোকের এ সময়ে শুভানুধ্যায়ীদের সহানুভূতি ও সহমর্মিতা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের মনে সাহস যোগাবে এবং ভবিষ্যত চলার পথ সুগম করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাতের জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই ১৬ জুলাই রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আবদুল হাইয়ের ২ জুলাই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং পরে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ জুলাই তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়।