মঙ্গলবার গাজীপুরের সফিপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেন, ‘মাদকের অপব্যবহার, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জাতীয়, সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে আনসার ও এর অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ভূমিকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা যথাযথভাবে ভোটের সময় তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন।’
পাঁচ আনসার সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে পাঁচ আনসার সদস্যকে ‘মরণোত্তর সাহসীকতা পদক’ দেয়া হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে আনসার ও ভিডিপির কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।
সাহসীকতা এবং প্রশংসনীয় কাজের জন্য তিনি ১৫৩ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে বিশেষ পদক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী ১০ জন আনসার সদস্যকে বাংলাদেশ আনসার পদক, ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি আনসার পদক, নয়জনকে বাংলাদেশ ভিডিপি পদক, ছয় সদস্যকে রাষ্ট্রপতি ভিডিপি পদক, ২০ জনকে বাংলাদেশ আনসার সেবা পদক, ৪০ জনকে রাষ্ট্রপতি আনসার সেবা পদক, ১৬ জনকে বাংলাদেশ ভিডিপি সেবা পদক এবং ৩২ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি ভিডিপি সেবা পদক দেন।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।