বৃহস্পতিবার সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক করোনা সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ খুবই দুঃখজনকভাবে এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে নতুন সেমিস্টারে ভর্তির নোটিশ দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই সংকট মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই বাড়তি ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব। তাই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে চলমান সেমিস্টারের ভর্তি ফি মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান আশ্বাসের কথা তুলে ধরে মাহমুদুল হাসান মিশু বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে অধিকার আদায়ে সোচ্চার। করোনার এই মহামারিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যেসব দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূরণের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু এখনও তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া ইন্সট্রুমেন্টাল এক্সেস অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর দুইটা পিসিআর মেশিন স্থাপন ও গত জুলাই মাস হতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা, নতুন অত্যাধুনিক মেডিকেল সেন্টারের কাজ গত সেপ্টেম্বরের মাঝে শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আগেই স্বল্প মূল্যে ৩০ জিবি ইন্টারনেট ডাটা ও প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া, বাংলা বর্ষবরণ ও মুজিববর্ষ পালনে বেঁচে যাওয়া টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে খরচ করা, ইউজিসির নির্দেশনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনার সফট লোন দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবলোকন করেছে, কিভাবে করোনা সংকটকে পুঁজি করে একের পর এক আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এই প্রশাসন প্রতারণা করেছে। বারবার এমন প্রতারণা শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়ন না হলে অতীতের ন্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবে।’