এবিটির গ্রেপ্তার সদস্যদের বরাত দিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘তারা সুসংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’
মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, এটিবি সদস্যরা ‘টার্গেট কিলিং’ নিয়ে কাজ করছেন। যদিও তাদের দিকনির্দেশনা দেয়ার মতো কোনো নেতা নেই। তাদের মূল লক্ষ্য হলো রহমানীকে কারাগার থেকে মুক্ত করা। এ ক্ষেত্রে আইনি পথ ব্যর্থ হলে তারা কারাগারে হামলা চালাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
র্যাব-১ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এটিবির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতরা কয়েকজন প্রখ্যাত ব্যক্তি ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।
গ্রেপ্তার এটিবি জঙ্গিরা র্যাবকে জানায়, বর্তমানে তাদের ৯২ জন সদস্য রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন সেলে ভাগ হয়ে আছেন। আমান নামে একজন তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার নির্দেশে ৪-৫টি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
র্যাব জানায়, এ দলটি মূলত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের নজরদারি করে। শাহরিয়ার নামে এক জঙ্গি ভুয়া নাম ব্যবহার করে নাস্তিকদের এক গ্রুপে যোগ দেন। নজরদারির এক পর্যায়ে জঙ্গিরা এটিবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী (নাস্তিক গ্রুপের) একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে শাহরিয়ারের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়। তিনি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তিনি ফেসবুকে আমানের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে এটিবিতে যোগ দেন।
মো. রাসেল ওরফে সাজেদুল ইসলাম ভোলার ফুলকাছির বাসিন্দা। তিনি ২০১৩ সালে এসএসসি পাসের পর পোশাক কারাখানায় কাজ নেন। তিনিও ফেসবুকে আমানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এটিবিতে আসেন।
নুরুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ায় এবং তিনি ২০১০ সালে দাখিল পাসের পর ২০১৫ সালে বগুড়া পলিটেকনিকে ভর্তি হন। শাহরিয়ারের মাধ্যমে জঙ্গি মতাদর্শে আকৃষ্ট হয়ে তিনি এটিবিতে যোগ দেন।
গাড়ি চালক আবদুল মালেককে সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবিত করেন রাসেল এবং তিনি ২০১৮ সালে এটিবির সদস্য হন।