চারদিনের সফরে রবিবার ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট। জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে ‘গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সকাল ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিশেল ব্যাচেলেটকে স্বাগত জানাবেন।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সফর সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে মানবাধিকার এজেন্ডার রাজনীতিকরণ কখনই জনগণের মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় কখনই সাহায্য করে না। বরং আন্তরিক সংলাপ এবং সহযোগিতা হলো এর মূল পথ।
ব্যাচলেট দুই দফায় (২০০৬-২০১০ এবং ২০১৪-২০১৮) চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানকালে ব্যাচলেট পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যুব প্রতিনিধি, সিএসও (সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন) নেতা এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও তিনি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
ব্যাচলেট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে বক্তৃতা দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে মহামারী এবং অন্যান্য ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে তার এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
পড়ুন: বাংলাদেশি টাকা জমার বিষয়ে সুইস ব্যাংকে তথ্য চেয়েছে ঢাকা: মোমেন
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব পক্ষের সমান ভূমিকা প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত হাস