নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বুলগেরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দুই সহসভাপতি হলেন নেদারল্যান্ড ও গাম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি।
এরফলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই বোর্ড তিনটির সদস্য ও নেতাদের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং তাদের কাজে কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘ মিশন।
এতে বলা হয়, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী বোর্ডের প্রথম সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা তিনটির কাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামর্থের প্রতি আস্থা রাখা এবং বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোর জন্য বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
বোর্ডসমূহের কাজ বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষাপটে পুনরায় আগের ভালো অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে গৃহীত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ এবং এর নির্বাহী বোর্ডের সাথে দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ একসাথে কাজ করছে, এরফলে যে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এই নির্বাচন তারই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। কূটনৈতিক কর্মজীবনে তিনি নিউইয়র্ক, জেনেভা, কলকাতা ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
তিনি দুই আন্তর্জাতিক সংস্থা- কমনওয়েলথ সচিবালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়ও (আইওএম) কাজ করেছেন। লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ে ছিলেন মানবাধিকার প্রধান (২০০৬-০৭)। অন্যদিকে, আইওএমতে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় (২০০৭-১১) এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও উপদেষ্টা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে ব্যাংককে (২০১২-১৫) দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা যুক্তরাষ্ট্রের টাফট ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার স্বামী আরেক কূটনীতিক কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বর্তমানে ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন।
মাঠ পর্যায়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডাসমূহকে এগিয়ে নিতে এ তিনটি সংস্থার সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা ইউএনডিপি দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করে থাকে। ইউএনপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে এবং শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিয়াবলীর প্রকল্প সংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস।