জাপানের টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাসে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।
দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতই শেখ রাসেল শিশুকাল থেকেই উদার, পরোপকারী, শান্তিপ্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
উপস্থিত সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু যেদিন জাপানের মাটিতে পা রাখেন সেদিন ছিল ১৯৭৩ সালের ১৮ অক্টোবর অর্থাৎ শেখ রাসেলের জন্মদিন। সেদিন বাবার সঙ্গে রাসেলও জাপানে এসেছিলেন। পুরো জাপান সফরে শেখ রাসেলকে অনেক চঞ্চল, হাসি-খুশি দেখা গেছে। কখনো সে পুকুর পারে মাছ দেখে আনন্দে মেতেছে আবার কখনো জাপানি ঐতিহ্যবাহী জামা ‘ইউকাত্তা’পরে জাপানি নাচ আর বাদ্য উপভোগ করেছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবনের ঘটনা, পরিবারের সবচেয়ে বড় বোন হিসেবে তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর ও মমতা এবং ঘাতকের বুলেটে তার অমিত সম্ভাবনাময় জীবনের অবসানের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
এসময় শেখ রাসেল দিবসের থিম সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্যে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
পরে কেক কাটার আয়োজনসহ শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।