মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
একই সাথে আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে।
বিচার শুরু হওয়া সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
এর আগে, এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে তারা দোষী না নির্দোষ জানতে চাইলে তারা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সুবিচার প্রার্থনা করেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সালাউদ্দিন হাওলাদার। অন্যদিকে, জিকে শামিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শওকত ওসমান।
গত ২৭ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে সাত দেহরক্ষীসহ আটক করে র্যাব। এরআগে, ওইদিন গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রত্যেক মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে আছেন।