বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা থেকে আসা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পৃথকভাবে এবিষয়ে তদন্ত করে।
প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে সৃষ্ট আগুন বাঁশের তৈরি সিলিংয়ে লেগে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় রাত সাড়ে ৯টায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন এবং বাড়ির প্রধান ফটক ভেতর থেকে তালা দেয়া ছিল। ভুক্তভোগীরা তালার চাবি খুঁজে পাননি।
প্রধান ফটকের পাশে প্রচুর জ্বালানি (গোবরের তৈরি) ছাড়াও বিভিন্ন দাহ্য বস্তু থাকায় সেখানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়। যার ফলে বাড়ির কোনো সদস্য ওই ফটক দিয়ে বের হতে পারেননি।
আগুন লাগার পর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইর থেকে ফটক ভাঙতে না পেরে বাড়ির রান্নাঘরের জানালা ভেঙে দগ্ধদের উদ্ধার করেন। এতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাছাড়া বাড়িতে ঢোকার পথ অনেক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে বেশি সময় লেগে গেছে।
এমন বিলম্বের কারণে আগুনে বাড়ির ভেতরে তিনজন এবং বাকি পাঁচজন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে ওই বাড়ির আনুমানিক ৬ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।