রবিবার সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
জাতির জনকের শততম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদ সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
জাতির জনকের সমাধিস্থলে রাখা দর্শনার্থীদের খাতায় স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাংসদ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাংসদ শেখ হেলালুদ্দীন।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে অপর একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯২০ সালের এই দিনে দেশের স্থপতি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবিবার সারাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এই দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়। এছাড়া ১৭ মার্চ সরকারি ছুটির দিন।