শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজার কার্যকারিতার উপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে আবেদনও করা হয়েছে। শ্রম আইনে করা মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেছেন।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আপিল করে জামিন চাইলে ২৮ জানুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর