কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে ডা. সাবরিনা তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোন রোগীদের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ১৫,৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগসমূহ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সার্জারি বিভাগ থেকে সদ্য বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন।
এর আগে, দুদক সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন্ উৎস হতে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করে।
এসব তথ্য-উপাত্ত সংবলিত অভিযোগসমূহ কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজিকে অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত মাসে অনুসন্ধানে জিকেজির বিরুদ্ধে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠে আসার পর আরিফকে গ্রেপ্তারের পর গত রবিবার সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।