দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, আদালত তার জামিন প্রশ্নে ১০ দিনের রুল জারি করেছেন এবং ১৮ জানুয়ারি রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান ডিআইজি বজলুর রশিদ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দুদক তার জামিন বাতিলের আবেদন করে।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি কোনো তথ্য গোপন করেননি। তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। শুনানি শেষে ৮ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার জামিন বহাল রাখেন। পরে এই জামিন আদেশ বাতিল চেয়ে দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন।
গত ২২ অক্টোবর একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর এ আদেশ দেন। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশিদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুরের জামিন আবেদন আবারও খারিজ
গত বছরের ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশিদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক।
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।