বিশেষ এ বিমানে করে আটজন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এবং সে দেশের স্থায়ী বাসিন্দাও তাদের দেশে ফেরত যান।
ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল ফিরে যাওয়া ২৮৫ জন যাত্রীসহ মোট ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন।
হাইকমিশন বলেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারগুলোকে নিজ দেশে ফিরে যেতে তারা সহায়তা করেছে।
বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার উপস্থিত ছিলেন।
সুষ্ঠুভাবে ফ্লাইট পরিচালনার প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে হাইকমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে যাত্রীবাহী বিমান আসা ও যাওয়া এখনও স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশ। মহামারি নিয়ে আমাদের বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে অস্ট্রেলিয়ানরা যাতে নিজ দেশে ফিরতে পারেন সে জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এবং শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্স তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য যে সহায়তা করেছেন তার জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
দ্বিতীয় এ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের কর্মীরা।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ১৫ হাজারেরও বেশি নাগরিককে জাহাজ এবং বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করেছে।