ঢাকা সফরের ইতি টেনে ভারতীয় মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে মঙ্গলবার তার ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।
এস জয়শংকর মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
‘দেখে ভালো লাগছে যে আমাদের সম্পর্ক এমন ইতিবাচক পথে রয়েছে,’ ঢাকা ত্যাগের আগে বলেন তিনি।
তাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ এস জয়শংকর সাংবাদিকদের বলেন, অভিন্ন ৫৪ নদীর পানিবণ্টনে ‘পরস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিধির’ সন্ধানে বাংলাদেশ ও ভারত কাজ করছে। সেই সাথে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধানে ভারতের যে প্রতিশ্রুতি আছে তাতে কোনো পরিবর্তন নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জয়শংকর আরও বলেন, অংশীদার হিসেবে এক সাথে কাজ করলে প্রতিবেশীরা কী করতে পারে তার উদাহরণ হয়ে আছে বাংলাদেশের সাথে ভারতের অংশীদারিত্ব।
এ অংশীদারিত্ব যে দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের জন্য সত্যিকারের রোল মডেল তা নিশ্চিত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতীয় মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো, যা ভারতের স্বার্থেও অন্তর্ভুক্ত তা বাস্তবায়নে তারা সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে চায়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।