পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) আয়োজনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।
মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপুন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ড. মোমেন বলেন, সম্মেলনে ডি৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি অংশ নেবেন।
অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মরিশাসের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং প্রেসিডেন্টের সফরের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ মে রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সম্মানে একটি নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই সম্মেলনের ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পিস, প্রসপারিটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফর আ রেজিলিয়েন্ট ফিউচার- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে শক্তিশালী করার রোডম্যাপ প্রণয়নের জন্য মূল অংশীজনদের একটি আলোকিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) ২০১৬ সালে শুরু হয় এবং গত ছয় বছরে এটি আঞ্চলিক বিষয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ‘ফ্ল্যাগশিপ কনসালটেটিভ ফোরাম’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এই সম্মেলনে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলো এবং প্রধান সামুদ্রিক অংশীদারদের একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করার চেষ্টা করা হয়, যাতে এই অঞ্চলের সকলের জন্য সুরক্ষা ও প্রবৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়।
সম্মেলনের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে।
এতে মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক, কৌশলগত চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমসহ ২২টি দেশের ৩০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন