ঢাকায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে 'সঠিকভাবে' জানানো হয়নি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
মানবাধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের শীর্ষ স্থানীয় সংস্থাকে সরকার সত্যের ভিত্তিতে জবাব দেবে জানিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক বিবরণ ত্রুটিপূর্ণ এবং বাস্তবতাবর্জিত। তাদের তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম তথ্যঘাটতি দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান
মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং প্রায় ৩০ জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। এ সময় মুখোশ পরে মোটরসাইকেলে যারা এসেছিলেন, তাদের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক বলে মনে করা হয়।
মানবাধিকার কমিশনার উল্লেখ করেছেন, তারা বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের সময় ধারাবাহিক সহিংস ঘটনার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়ানোর জন্য বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ যেহেতু দেশে নির্বাচনের সময় কাছে চলে এসেছে, তাই এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। একই সঙ্গে সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়াতে সব দলের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
তথাকথিত 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা' সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা ও ভুয়া বিষয়' নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপিও ঢাকার সহিংসতা নিয়ে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা 'ভুয়া উপদেষ্টা' নিয়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রেরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার