দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ ধরনের হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে (একিউআই) ৫৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ৫৬তম অবস্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক ৫০ থেকে ১০০ কে ‘মধ্যম’ ধরা হয় এবং এটি গ্রহণযোগ্য বাতাস। তবে বায়ুদূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল খুব কম সংখ্যক মানুষের জন্য মাঝারি ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে।
সৌদি আরবের রিয়াদ, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও কুয়েতের কুয়েত সিটি যথাক্রমে ৩০৩, ১৭০ ও ১৬৮ স্কোর নিয়ে এ তালিকার শীর্ষ তিন স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের ‘উন্নতি’
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয় যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণে মাইলফলক
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।