প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুয়েতের নতুন আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ’র সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। নতুন আমিরের দায়িত্ব গ্রহণে তাকে অভিবাদন ও সাবেক আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক বার্তা পৌঁছে দেয়ার কথা রয়েছে বলে এক কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে।
উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার পূর্বসূরি শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহ মারা যাওয়ার একদিন পরেই কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শেখ নওয়াফ।
৯১ বছর বয়সে মারা যাওয়া কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ ১৪ বছর ধরে দেশটি শাসন করেছিলেন। বিভেদপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য পরিচিত অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে কাজ করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শান্ত-আচরণ ও অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে সাবাহ ‘আরব কূটনীতির ডিন’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
এ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং কুয়েতের শোকসন্তপ্ত রাজকীয় পরিবার ও সেদেশের ভাতৃপ্রতীম জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কুয়েতের প্রয়াত আমির সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে শুক্রবার ঢাকায় কুয়েত দূতাবাসে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে দেশটিতে তাঁর অবদান এ দেশের মানুষ চিরদিন স্মরণ রাখবে।
তিনি উল্লেখ করেন, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ওআইসি সম্মেলনে নিয়ে যান।