প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস মানুষের সামনে নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নাগরিকদের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যাতে সব মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত মানুষের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তাভাবনা এবং এগিয়ে যাওয়ার ধারণা বিকাশের সুযোগ তৈরি করা।’
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশকে বাস্তবায়িত করতে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। ধাপে ধাপে কী করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, যেখানে মানুষ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনের শক্তি বিকাশের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা চিরতরে বিলুপ্ত করতে কাজ করুন: কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী