পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘পারস্পরিক সুবিধার জন্য এ অঞ্চলের বিস্তৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের অবশ্যই
বিবিআইএনের মতো উপআঞ্চলিকভাবে বা সার্ক ও বিমসটেকের মতো আঞ্চলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মনোনিবেশ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম শীর্ষ বৈদেশিক নীতি। কারণ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এ অঞ্চলের সব দেশে একত্রে উন্নয়ন হওয়া অপরিহার্য।
শাহরিয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ডেল্টা প্লান অনুযায়ী ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে রূপকল্প গ্রহণ করেছে।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যেমন- ভুটানের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার এবং এফডিআই আকর্ষণ করার জন্য নেপালের বিশেষ পরিকল্পনা।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের জননীতি প্রণয়ন করা দরকার এবং সম্পদ পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন যাতে উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো কোনো বাধা ছাড়াই বাস্তবায়ন করা যায়।
অর্থনীতির বৈচিত্র্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে এবং কৃষি থেকে উদ্বৃত্ত শ্রমের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে অর্থনীতির পরিষেবা খাতে স্থানান্তরিত করতে সফল হয়েছে।
বাংলাদেশ ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করেছে যা বিনিয়োগকারীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা সরবরাহ করছে।
‘আমরা উদার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করেছি এবং হাই-টেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টারও তৈরি করছি,’ বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আইটি খাতে প্রতি বছর চাকরির বাজারে প্রবেশকারী লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত তিন দশকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
‘আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে,’ বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গ্যায়ালি, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদ, ভারতের সড়ক পরিবহন ও জনপথ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এবং নেপালের চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান বিনোদ কে চৌধুরী এ বৈঠকে অংশ নেন।