টেকসই উন্নয়ন
জি-২০ সামাজিক সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস
সম্প্রদায়ের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ সামাজিক শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কোনো দেশই পারস্পরিক দায়িত্ব পালনে তার ভূমিকা পালন করা থেকে বিরত থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: শাহজালালে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি ক্ষয়িষ্ণু কাঠামোর প্রতি বিশ্বাস পুনরুদ্ধার এবং টেকসই সমাধানের দিকে বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক এবং যুব শক্তিকে একত্রিত করতে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থার জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং নেট কার্বন নিঃসরণ মুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতাদেরর প্রতি 'তিন শূন্যের বিশ্ব' গড়ে তোলার পক্ষে জোরালো আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ ভার্চুয়াল বার্তার পর ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি জানজা লুলার উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জি-২০ সামাজিক সম্মেলনের অধিবেশন শুরু হয়।
ব্রাজিলের পাশাপাশি গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাবাউট পোভার্টি অ্যান্ড হাঙ্গারে বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে যোগ দেওয়ায় এই অধিবেশন একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়।
অধ্যাপক ইউনূসের দূরদর্শী ভাষণ 'একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব এবং একটি টেকসই পৃথিবী নির্মাণ' শীর্ষক এই উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্টে একটি অনুপ্রেরণামূলক সুর তুলেছে। তিনি একটি ন্যায্য, আরও স্থিতিশীল বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে জি-২০ বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস এই যুগান্তকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
ব্রাজিলের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা।
নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে এ বছরের জি-২০ আলোচনার তিনটি মূল বিষয়ে অবদান রাখতে ব্রাজিলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এই রূপান্তরমূলক পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করে, তিনি খরচ কমানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি নতুন মানসিকতা এবং জীবনধারা গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। যা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’র দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য অপরিহার্য।
অধ্যাপক ইউনূস দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে রূপান্তরমুখী সমাধানে সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট লুলাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ অ্যালায়েন্সের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সমন্বিত মাতৃত্ব ও প্রাক-শৈশবকালীন স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন ।
ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অদ্যাবধি গ্লোবাল অ্যালায়েন্স জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ ৩০টি উন্নীত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ৩০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী জি-২০ সামাজিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯: আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
১ মাস আগে
টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সংহতি-ঐক্য ও জোরালো সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোকে পারস্পরিক সংহতি ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উগান্ডার কাম্পালায় জি-৭৭ (জি-৭৭) ও চীনের জেনারেল ডিবেট অব দ্যা থার্ড সাউথ সামিটে তিনি এ আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের কারণে চলমান বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,চীন এবং জি-৭৭ সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে: জয়শঙ্কর
তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রদত্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর বার্তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি স্বচ্ছ ও অধিকতর ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য পাঁচটি জরুরি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেমন- এসডিজি বাস্তবায়নে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ; বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার; প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা; সর্বত্র লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত ও উন্নয়নমুখী নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনে তাদের সংগ্রামে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তৃতীয় সাউথ সামিটের চেয়ার এবং গ্রুপের নতুন চেয়ার হিসেবে উদ্বোধন করেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি।
অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস; জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস; চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় সৌদি পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
১১ মাস আগে
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আশেকপুর-বালাতৈর সড়কে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র বলেন, তালগাছ মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘এটি ফল দেয় এবং পথচারীদের জন্য ছায়া দান করে। এটি বজ্রপাত থেকেও সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও, খেজুরের রস এবং গুড় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য লজ্জার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি খেজুরের চারা রোপণ ও সঠিক পরিচর্যা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আশেকপুর-বালাতৈর সড়কের দুই পাশে মোট ৪০০টি তালের চারা রোপণ করা হবে।
পরে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৩ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ফ্রান্স বাংলাদেশকে বিমান চলাচল ও সমুদ্র নিরাপত্তায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী: ফরাসি দূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত ও বস্তুনিষ্ঠ মাত্রার দিকে আরও প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সবসময়ই বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত অংশীদার, এবং এই অংশীদারিত্ব আমাদের টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত একটি কৌশলগত ও উদ্দেশ্যমূলক মাত্রার দিকে আরও প্রসারিত হয়েছে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত ও বস্তুনিষ্ঠ মাত্রার দিকে আরও প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সবসময়ই বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত অংশীদার, এবং এই অংশীদারিত্ব আমাদের টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত একটি কৌশলগত ও উদ্দেশ্যমূলক মাত্রার দিকে আরও প্রসারিত হয়েছে,’ তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত পথে গত পাঁচ দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সরকার এটিকে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে রিফিলিং এবং সংযুক্ত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক হাব হিসেবে রূপান্তরিত করছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা দেশের জন্য বোঝা হয়ে পড়ায় তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিশেষ করে বিমান চলাচল, মহাকাশ ও সমুদ্র নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
এ প্রসঙ্গে মাসদুপুয় বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণে আগ্রহী।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স অভিযোজনসহ এ বিষয়ে কাজ করছে এবং তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফর এবং প্যারিসে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনার কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা প্যারিসে ২২-২৩ জুন অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যও ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি
টেকসই উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর
১ বছর আগে
টেকসই উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও-এ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ নিরাপদ পানি, স্যনিটেশন ও হাইজিন, প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেকে এগিয়ে আসতে হবে৷
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
এছাড়া সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, সামষ্টিকভাবে আমাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
তিনি বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে৷ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন জাতীয় বাজেট স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে৷
এছাড়া আমাদের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি জানান৷
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয়, পার্বত্য এবং খরাপ্রবণ এলাকার জন্য আমাদের ভিন্ন ভিন্নভাবে সমাধান করতে হবে৷
শহরের দরিদ্র ও ধনী শ্রেণির জন্য আলাদা পানির দর নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন৷
গুলশান-বনানী অভিজাত এলাকায় পানির দর বেশি এবং বস্তি এলাকায় পানির দর কম করার ব্যবস্থা করতে হবে৷
মন্ত্রী আরও বলেন, সেমিনার বা সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু একই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, এগুলোর মাধ্যমে সঠিক তথ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায়৷
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুমানা আক্তার৷
সেমিনারে বক্তারা এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিনিয়োগের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন৷
সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক রিসার্স ফেলো মাহফুজ কবির৷
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান৷
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
২ বছর আগে
টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, একটি দেশের ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেয়ার পরে আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মঙ্গলবার রেলভবনে পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেভাবে রেল থেকে আয় করে থাকে, বাংলাদেশ রেলওয়েও বহুমুখী আয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। রেলের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান রেলের আয় বৃদ্ধি কার্যক্রমের একটি অংশ।
মন্ত্রী বলেন, রেল জনগণের বাহন। জনগণকে জানানোর উদ্দেশ্যে, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য আমরা প্রকাশ্যে চুক্তি করছি। তিনি বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ভর্তুকি দিয়ে চলছে। রেলের অনেক সম্পদ আছে। আমরা সেখান থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় রেলখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু রেলকে পুনর্গঠন করেন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো রেলের কোন উন্নয়ন করেনি। ১০ হাজার রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীকে হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে বিদায় করেছে। আমরা ভবিষ্যতে রেলের জমিসহ পণ্য পরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: টিটিই বরখাস্ত: স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত রেলমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি: রেলমন্ত্রী
২ বছর আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেলা মারিন-এর শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
ফিনল্যান্ডের এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হতে পারে।
রিতভা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো বিদ্রোহের অনুমতি দিই না।’
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তার সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে সময় ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে।
বাংলাদেশে প্রচুর হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের (বিদেশ) নীতি হল-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার আমদানি করলেও এখন শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আরও খাদ্য উৎপাদনের জন্য কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কারণে সত্যিকারের কূটনীতির কোনো জায়গা নেই: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
২ বছর আগে
ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. মোমেনের চিঠি
কোনো ধর্মই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে, সকলের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
৪ বছর আগে
দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই উন্নয়নে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান ঢাকার
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
৪ বছর আগে