রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মেহমানখানা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেড় থেকে ২ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দেয়া হচ্ছে।
টিপু সুলতান রোডের ‘খান হোটেলে’ গত ১৮ জুলাই থেকে চালু হয়েছে বিদ্যানন্দের মেহমানখানা। প্রতিদিন শিশু-কিশোর ও বয়স্ক নারী-পুরুষ খাবার খেতে আসছে। আগত মানুষদের সুশৃঙ্খলভাবে খাবার পরিবেশন করছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও হোটেল কর্মচারীরা। খাদ্য তালিকায় রয়েছে রুটি দিয়ে ডিম ভাজি ও মুরগির মাংস দিয়ে বুটের ডাল।
হোটেলটিতে রান্নার জন্য রয়েছেন ১৫ জন বাবুর্চি। মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য পালাক্রমে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
প্রকল্পটির সমন্বয়ক সালমান খান ইয়াসিন জানান, ঢাকার ভিতর আরও চারটি মেহমানখানা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকটে অনেক মধ্যবিত্ত মানুষও চাকরি হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন। তাদের কথা ভেবেই আমাদের এ আয়োজন। এখানে যারা আসবেন তারা সবাই আমাদের মেহমান। আমাদের এ পরিকল্পনার দেখে অন্যরাও দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুক।’
‘এ বছর ঈদে অনেকেই কোরবানী দিতে পারবেন না। মেহমান হিসেবে তাদেরকে পরিবারসহ সমাদর করতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সপ্তাহব্যাপী খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে,’ যোগ করেন সালমান খান ইয়াসিন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাশ বলেন, ‘ক্ষুধায় এক সময় আমি বহুদিন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছি। একদিন টাকা হলে এমন এক রেস্তোরাঁর সব খাবার কিনে একাই খাব, মা-বাবাকে খাওয়া বো। আমার সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি, তবে বিদ্যানন্দের হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন সংকটের দিনে দরিদ্র মানুষের জন্য এটা আমাদের উপহার। মানুষের দেয়া অর্থে মানুষ খাচ্ছে। বিপদে মানুষ যখন চোখে অন্ধকার দেখছে, তখন কিছু মানুষ যদি তাদের পরিবার নিয়ে পেটপুরে খেতে পারেন, খেটে খাওয়া মানুষ যদি কিছুটা উপকার পান তবেই আমরা খুশি হব।’