মঙ্গলবার রাজধানীতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত। দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদদের প্রতি নমনীয়। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরিচালিত দুদকের পারফরম্যান্স সম্পর্কে একটি ফলো-আপ গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।’
টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম এবং এর ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল পড়ে শোনান।
ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই সময়ের মধ্যে দুদকের কার্যক্রমগুলোতে কিছু অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি। তবে সামগ্রিকভাবে কোনো অগ্রগতি নেই।’
‘দুদক দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক ক্ষমতাসীন দলের সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, কাগজে-কলমে দুদককে স্বাধীন বলা হলেও বাস্তবে স্বাধীন বলা যায় না।
‘সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতির বিধান বাতিল করতে হবে, কারণ এটি অসাংবিধানিক,’ বলেন তিনি।
দুদকের পারফরম্যান্স উন্নত করতে টিআইবি মোট ১৬টি সুপারিশ করেছে।