এ ছাড়াও ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৮ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় মামুনুর রশীদ উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের দু’টি ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ আলী সালাম।
দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ সালের আইনের ২৬ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। দুই ধারায় শাস্তি পৃথকভাবে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
২০০৮ সালের ৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন মামুনুর রশিদকে তার নিজের নামে ও পরিবারের নামে থাকা সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেয়। তিনি নিজের নামে ও পরিবারে নামে ৪১ লাখ ৫৭ হাার ৬১৩ টাকার সম্পত্তির হিসাব প্রদর্শন করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১১ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।