বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
শনিবার সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৪ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া এ তালিকায় যথাক্রমে ১৮০ ও ১৭৩ একিউআই সূচক নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ ও চীনের উহান।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের মান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি৷ দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে ঢাকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।