এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘দেওয়ানি আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২১’ বিলটি উত্থাপন করেন। পরে এটি আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেওয়ানি মামলায় বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়াতে বিল উত্থাপন
বিলটিতে দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। মোকদ্দমা পরিচালনায় একজন সহকারী জজ বিদ্যমান সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার জায়গায় ১৫ লাখ টাকার এবং সিনিয়র সহকারী জজ চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকার এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারবেন।
দেওয়ানি মোকদ্দমায় আপিল শুনানির ক্ষেত্রে একজন জেলা জজের ক্ষেত্রে আর্থিক এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বরং পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসির ফল প্রকাশের লক্ষ্যে সংসদে বিল উত্থাপন
সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে কেন বিলম্ব, জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বিলটি পাস হওয়ায় এখন একজন সহকারী জজ সর্বোচ্চ মূল্য ১৫ লাখ টাকা রয়েছে এমন সম্পদের দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। আর সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ানি মামলায় বিচার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার সম্পদের।
আরও পড়ুন: সরকার আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী: আইনমন্ত্রী
আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
সেই সাথে প্রস্তাবিত আইনে আনা বিধান অনুযায়ী, সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি মূল্যের কোনো দেওয়ানি মামলায় যুগ্ম-জেলা জজের দেয়া ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ঝুলে থাকা আপিল জেলা জজ আদালতে পাঠানো যাবে।