আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে চারদিন মেয়াদে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু হচ্ছে। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা জেলায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বরে এবং দেশব্যাপী বিভাগীয়/জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বর অথবা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা জেলায় প্রায় ৭০টি, বিভাগীয় পর্যায়ে প্রায় ৫০টি এবং জেলা পর্যায়ে প্রায় ৩০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
তিনি দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ সুন্দর ও সফলভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জাতির সঠিক ইতিহাস জানান দেয়াসহ আলোকিত, জ্ঞাননির্ভর, সংস্কৃতিমনস্ক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সৃজনশীলতার একটি বড় উৎস বঙ্গবন্ধু, তাঁর জীবনকর্ম ও ত্যাগের মহিমা। যে কারণে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হাজার হাজার বই প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সৃজনশীলতাকে জাতির মাঝে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের নিকট ছড়িয়ে দিতে 'বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান।
পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান