রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কমেছে। রোগী যদি না কমে তাহলে হসপিটালে ৬০-৭০ ভাগ সিট খালি থাকতো না। এটাই প্রমান করে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন বাসায় বসে বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে। মানুষের মধ্যে কনফিডেন্ট তৈরি হয়েছে। দেশে ৪-৫ হাজার ডাক্তার টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মুমূর্ষু বা ক্রিটিকেল রোগি ছাড়া হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়না।’
দেশে এখন টেস্টে সংখ্যা কমছে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ বাসায় চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছে ফলে টেস্ট করার সংখ্যাও কমছে। এছাড়া, বন্যা, মানুষের মধ্যে টেস্ট করার অনীহা এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে টেস্ট সংখ্যা কমছে।’
আগের চেয়ে ল্যাবের সংখ্যা বাড়লেও করোনার নমুনা পরীক্ষার গার কমলেও করোনা পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার হারও বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার প্রায় ৬০ শতাংশ। এখনও অনেক জেলায় কোনো মৃত্যু নেই এবং সংক্রমণ সংখ্যাও অনেক কম। সব বিষয়ে বিচার বিশ্লেষন করলেই এটা বলাই যায় যে বাংলাদেশে করোনা রোগী ও মৃত্যু সংখ্যা কমছে।’
হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে অভিযান হয়না, অভিযান হয় চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। হাসপাতালে অনিয়ম অনুসন্ধান করা হয়। কোনো অভিযান বন্ধ হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে যৌথভাবে এ অনিয়ম দেখা হবে।’