করোনা রোগী
চাঁদপুরে নারী করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা!
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানসকি চাপ ও যন্ত্রণা সয্য করতে না পেরে চাঁদপুরে এক নারী কোভিড রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিউটি বেগম (৩৫) নামে ওই নারী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপতালের দ্বিতীয় তলা (কোভিড আইসোলশেন ইউনটি) থেকে হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
শনিবার বিকেল ৬টার দিকে হাসপাতালে করোনা ইউনিটের করিডোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই নারীর ডান পা টি কয়েক ভেঙে যায় এবং মেরুদণ্ডে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, বিকেলে হাসপাতালে করিডোরের দ্বিতীয় তলা থেকে এক নারী হঠাৎ করে নিচে লাফিয়ে পড়েন। আশাপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ২১৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩০.২৪ শতাংশ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানায়, বিউটি বেগম করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ওই নারীর শাশুড়ি জানান, তাদের বাড়ি হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামে। বিউটির স্বামীর নাম খোকন মিয়া। গত ১১ দিন পূর্বে করোনা পজেটিভ হলে তিনি তার ছেলের বউকে নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্ত নারীকে বিছানায় রেখে তিনি বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে বের হয়ে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক রূপক বলেন, ‘ঘটনার সম্পর্কে আমিও প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি। ওর্য়াডে রোগী দেখার ফাঁকে জানতে পারি এক নারী রোগী দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।’
ডা. ওমর ফারুক জানান, করোনার বিভিন্ন প্রভাব থাকতে পারে। হয়তো সে করোনার প্রভাবেই মানসিকতা সমস্যার কারণে এমনটা করতে পারেন ওই রোগী। ওই ঘটনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
সারাদেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ এবং করোনা রোগীদের শয্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সকল বিভাগ ও জেলার সাথে ভিডিও কনফরেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কোভিড -১৯ এর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ঘরে থাকার এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ড. আহমদ কায়কাউস সভার সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে করোনায় প্রাণ গেল ২ জনের, শনাক্ত ৬৭
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনা হাসপাতালে ১০০ বেডের বিপরীতে ভর্তি ১৪৩ রোগী
খুলনা করোনা হাসপাতালে ফের ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১৪৩ জন রোগী ভর্তি আছে। ফলে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আইসিইউতে রয়েছেন ১৩ জন।
রবিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:একদিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ও উপসর্গে ১৩ মৃত্যু
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও দুজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৩ জন রোগী ভর্তি আচেন। এর মধ্যে রেডজোনে ৬৬ জন, ইয়ালোজোনে ৩০, এইচডিইউতে ৩৪ ও আইসিইউতে ১৩ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যশোরের কেশবপুর এলাকার মৃত তোরাব আলী খানের ছেলে আ. মজিদ খান ও খুলনার ফুলতলা বেজের ডাংগা এলাকার মৃত সদম আলীর ছেলে কাজী জালাল উদ্দীন নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শনিবার (১২ জুন) রাতে খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ১৫৬ জনের নমুনার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের। খুলনা মহানগরী ও জেলার।এছাড়া বাগেরহাটের তিন জন, যশোরের দুই, নড়াইলের ও মাগুরার একজন করে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ২২, মৃত্যু ১
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালের অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন ‘পত্র চালাচালির’ মধ্যেই সীমাবদ্ধ
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য অর্থসংস্থান পেতে শুধু পত্র চালাচালিতেই চলে গেল তিন মাস।
সর্বশেষ বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বললেন, নতুন করে নোট দিয়ে কালই কাজ শুরু হয়েছে। এখন আবার এজন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পেতে কতদিন লেগে যায় সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে গত কয়েকদিনের চিত্রে খুলনা করোনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কিছুটা কমতে দেখা গেলেও আবারও রোগী বাড়লে তখন রোগীরা অক্সিজেন সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কাকাও সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এজন্য পত্র চালাচালির ধীরে চলো নীতির অবসান চায় খুলনাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার অস্থায়ী গ্রীড হাসপাতালে সরকারি অর্থায়নে সরবরাহকৃত মালামাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরপূর্বক চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের জন্য একটি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য একটি ট্যাংকসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক মালামাল আনা হয়। কিন্তু সেটি স্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ১ কোটি টাকা। এ টাকার সংস্থান কে দেবে তার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এজন্য ট্যাংকটি করোনা হাসপাতালের পাশে অর্থাৎ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস বা পরমানুর সামনে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: ঈদকে সামনে রেখে সরকারের ৬ নির্দেশনা
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে আরও জানা যায়, প্লান্টটি স্থাপনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এইচইডি। এজন্য এইচইডি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিয়ে ৯৭ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। খুলনাসহ অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরার মালামাল দেয়া হয় সেগুলো স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত ৪ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওই পত্র দেয়া হয়। এতে অবশ্য খুলনাসহ দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অক্সিজেন প্লান্টসহ অন্যান্য মেশিনারিজ স্থাপনের জন্য সর্বমোট ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই থেকে পত্র চালাচালি শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
এইচইডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ মার্চ দেয়া এইচইডির পত্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলে সেখান থেকে আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। ওই পত্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক)- স্বাক্ষর হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যায় গত ৫ এপ্রিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন গত ১২ এপ্রিল আবারও পত্র দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। ওই পত্রে সংশ্লিষ্ট কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে(ডিপিএম) বাস্তবায়ন করা যায় কি না সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার অর্থাৎ আরও প্রায় এক মাস পর আবারও পত্র দিয়ে জানানো হয় এটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। সুতরাং মন্র্ ণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল তিনি বুধবার পেয়েছেন। যার আলোকে তিনি বুধবারই আবার ফাইল প্রস্তুত করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগরই এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া সম্ভব হবে। ফলে খুলনাসহ অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরা থেকে ফেরত দেয়া সরকারি মালামাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা’ হয়তো অচিরেই স্থাপন শুরু হবে।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য যে প্রক্রিয়ায় পত্র চালাচালি হচ্ছে সেটি আরও সহজীকরণ করে ঈদের আগেই যাতে কাজটি শুরু করা যায় সে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ কাজটি যেখানে বেধে আছে সেটি খুবই সামান্য একটি বিষয়। এখানে শুধুমাত্র আন্তরিকতাই যথেষ্ট। যে প্রক্রিয়ায় গেছে তাতে কাজটি হবে এটি ঠিক, কিন্তু কত দ্রুত হবে সেটি বোঝা যাচ্ছে না।
এজন্য তিনি পত্র চালাচালি আরও সহজ করে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
পত্র চালাচালি এবং পত্রের ভাষা আরও সহজ করে কাজটি দ্রুত করার দাবি জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আহাদও।
তিনি বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হলে করোনা রোগীদের যেমন চিকিৎসা সহজ হবে তেমনি যেহেতু করোনা হাসপাতালটি আইসিইউ ভবনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব কমলেও আইসিইউ’র জন্যও অক্সিজেন প্লান্টের প্রয়োজন হবে। সুতরাং এটিকে কোনক্রমেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট না থাকলেও বিকল্পভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। খুমেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ও পোষ্ট অপারেটিভ কাম আইসিইউ বিভাগের জন্য পূর্বে লিন্ডে অক্সিজেন কোম্পানী যে লিকুইড প্লান্টটি স্থাপন করেছিল সেটিও ডাবল ইউনিটে উন্নীত করে পাইপ লাইনে মাধ্যমে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করোনা হাসপাতালের দোতলায় ২০টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা সম্ভব হবে। যেটি আজ থেকে চালু হতে পারে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ কর্মকার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপত্র এইচইডির প্রধান কার্যালয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে নির্দেশনা আসার সাথে সাথেই অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৩ বছর আগে
করোনা রোগী বহনে ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে করোনা রোগী বহনে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ রবীন, এমরান হোসেন রিমন, গোলাম মোস্তফা খোকন, এটিএম জামিল তুহিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড চুরমার, শনাক্ত কমেছে
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ জানান, করোনা রোগী সহজ ও নিরাপদ বহনে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা জেলার ৯টি উপজেলায় বিনামূল্যে সার্ভিস দেবে।
তিনি আরও জানান, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স নিতে হলে শওকত আলী জাহিদ (০১৭১২০৮০৭৬৬), ফয়সাল আহমেদ রবীন (০১৭৩৩৯৫৫৫৫০), গোলাম মোস্তফা খোকন (০১৭১২৬৬৮২৩৪), এটিএম জামিল তুহিন (০১৭১৬৭৮৭৯৭৯), মৃধা তারেকুল ইসলাম তারেক (০১৭১৮৩৭৮৯৫০), রফিকুল আজম খান রুবেল (০১৭৩০৯৭২৩০২) এবং সাগর রায়ের (০১৭২২৩৩২১১৮) নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৯ জন। আক্রান্তের দিক থেকে সর্বাধিক রোগীর সংখ্যা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। সদরে আক্রান্ত রয়েছেন ৫ হাজার ৫৫১ জন।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৯ হাজার ১৬৯ জন রোগীর বিপরীতে সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৫২৭ জন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৪২ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। আক্রান্তের হার শতকরা ২১.০৬ এবং মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।
৩ বছর আগে
রাঙামাটিতে আবারও বাড়ছে করোনা রোগী
রাঙামাটি জেলায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শীত আসতে না আসতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
৪ বছর আগে
দেশে করোনা রোগী ও মৃত্যু হার কমেছে: দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু হার আগের চেয়ে কমেছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
৪ বছর আগে
সাতক্ষীরার প্রতি বাড়িতে ‘করোনা উপসর্গের রোগী’!
সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে অথবা করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। সাতক্ষীরার এমন কোনো বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে বাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গের রোগী নেই।
৪ বছর আগে
লকডাউন এলাকার করোনা রোগীদের বাসায় মেয়র তাপসের ফলের ঝুড়ি
রাজধানীর ওয়ারির লকডাউন থাকা এলাকায় করোনা রোগীরদের বাসায় বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ফলের ঝুড়ি।
৪ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে করোনা রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়াল
সিরাজগঞ্জে নতুন করে আরও ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে