এখন পর্যন্ত দেশে করোনার মোট ১ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হলো এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা শনিবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনার কবল থেকে নতুন করে ৫৭৮ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৯টি ল্যাবে মোট ১৪ হাজার ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৭টি। শনাক্তের হার ২১.১৩।
করোনায় নতুন যে ৪৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ১১ জন। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৯ জন এবং চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ জন মারা গেছেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৩০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
পাশাপাশি, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিশ্বের ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮২৮ জনের মৃত্যুর মধ্য মৃতের তালিকাতেও দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পরই অবস্থান করছে।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ৬৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ জন।
করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৬৬ জন। এর পরেই ইতালিতে ৩৪ হাজার ২২৩ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৩৭৭ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।
এদিকে শনিবার পর্যন্ত ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।