ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে ৫০০ পোস্ট অফিস আছে, যেগুলো খুবই চমৎকার অবস্থানে রয়েছে। পোস্ট অফিসের সেবার পাশাপাশি স্মার্ট পয়েন্ট স্থাপন করা হবে। ৫০০টি পয়েন্টে এই সেবা দেয়াও হবে। যেটা মাত্র ৪৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আবাসিক প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
জন্ম নিবন্ধনে আইসিটি মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে জানিয়ে পলক বলেন, জন্মনিবন্ধনের সার্ভার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা চলছে। এ সংক্রান্ত সব প্রস্তাব ও পরামর্শ আমরা দিয়ে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু নতুন করে সরকার গঠন করা হয়েছে, আমরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে বসব। আমাদের প্রস্তাব ও পরামর্শের ফলোআপ করে আবার চেষ্টা করব।
পলক জানান, একটি হচ্ছে, দ্রুত সেবা দেওয়া আরেকটি হচ্ছে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুটোর ব্যাঘাত ঘটেছিল। দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসে সাত দিন পর আপনাদের এ বিষয়ে জানাব।
ইইউ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ও জ্ঞানসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এখনো আছে। নতুন সরকারের নতুন যে রূপকল্প, নতুনভাবে আমরা যে কাজ করছি, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে স্মার্ট সরকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা পাব। তারা এখানে বিনিয়োগ করবেন, তাদের প্রযুক্তি ও জ্ঞানসহায়তাও তারা দেবেন।
আরও পড়ুন: টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে: পলক
বিভিন্ন নীতিগত সহায়তা নিয়েও ইইউ বাংলাদেশের পাশে থাকবে জানিয়ে পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা তিনটি প্রকল্প প্রস্তাব চার্লস হোয়াইটলির কাছে দিয়েছি।
প্রথমত- আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ান। সেখানে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) এরই মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সঙ্গে আরও ১ বিলিয়ন ডলার তারা আগামীতে দিতে প্রস্তুত।
সেখানে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্রকল্পে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব আজ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাবে। বিভিন্ন দ্বীপ, রিভার আইল্যান্ড, বিল ও হাওর অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিয়ে যাওয়াসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জন্য একটি ডিজিটাল দ্বীপ, হাওর ও বিল প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক