‘জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে যে ধান বিক্রি করে কৃষকরা উপযুক্ত দাম পাননি। এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ধান চাষ করে কৃষকরা উপকৃত হবেন না এবং ন্যায্য দাম পাবেন না এটা মেনে নেয়া যায় না,’ বলেন তিনি।
সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই কৃষকরা তাদের উৎপাদনের ন্যায্য দাম পান। এটা সরকারেরও নীতি। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের প্রতি অত্যন্ত সদয়। তিনি তাদের বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করছেন। কৃষকদের জন্য যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
পদক্ষেপের অংশ হিসাবে তিনি বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সর্বাধিক পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে।
রাজ্জাক বলেন, তারা কৃষকদের ধনী, মধ্যম আয়ের এবং প্রান্তিক এই তিন ধরনের শ্রেণিতে ভাগ করে তালিকা তৈরি করতে চলেছেন। ‘আমরা ধনী কৃষকদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ ধান সংগ্রহ করব, মধ্যম আয়ের লোকদের কাছ থেকে ৩০ শতাংশ এবং বাকী ধান প্রান্তিকের কাছ থেকে সংগ্রহ করব।’
তিনি বলেন, কৃষকদের তালিকা সারাদেশের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রদর্শিত হবে এবং কৃষি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করবেন। ‘আমরা আশা করি পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে অতীতের চেয়ে কৃষকরা আরও ভালো দাম পাবেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধান সংগ্রহ নীতিমালা তৈরির বিষয়ে কাজ করছে যা শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
উচ্চ শ্রম মজুরির কারণে ধানের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে উল্লেখ করে রাজ্জাক বলেন, সরকার কৃষকদের ফসল কাটার মেশিনের মতো ব্যয়বহুল কৃষিজাত সরঞ্জাম কিনতে ভর্তুকি প্রদান করবে।
‘সরকার উভয় সংকটে পড়েছে কারণ ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় অতীতে দেশ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হত এবং এখন ধানের অত্যধিক উৎপাদনের কারণে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে আমরা সমস্যায় পড়ছি। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’